দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা॥
ঢাকার দোহারে চর লটাখোলা এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া দারুন নাজাত মাদ্রাসা সংলগ্ন ৩৩ হাজার কেভির বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে শুক্রবার বেলা ৩টায় বিস্ফোরণে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ ৯জন আহত হয় বলে জানা গেছে। এঘটনায় দগ্ধ ৪ শিক্ষার্থীকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকাল ৩টায় মাদ্রাসার ৪র্থ তলায় শিক্ষার্থীরা ভিজে কাপড় শুকাতে গেলে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার কেভির লাইনের সাথে স্পর্শ হলে তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে আসে। এঘটনায় ৯জন আহত হয়। তাঁদেরকে প্রথমে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাদিয়া আক্তার (১৮), আমেনা সুলতানা (১৭), ফাতেমা আকতার(১৭), নুসাইবা(১৮) গুরুতর অসুস্থ হয়। তাঁদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
দোহার পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, মাদ্রাসার কাছে বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে যাই। এসময় সেখানে অনেকেই দৌড় ঝাপ ও কান্নাকাটি করছে দেখতে পাই। পরে ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুত সমিতির-১ এর ডিজিএম মো. সাদেক মিয়া বলেন, ঘটনা শুনেই প্রকৌশলীসহ অন্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিদ্যুত লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। যাতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে তাঁদের কোনো ত্রুটি নেই। রাস্তার পাশ দিয়ে যে সব সঞ্চালন লাইন প্রবাহমান সেখানকার ভবন মালিকদের আগেই সর্তক করা হয়েছিলো। অনেকেই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মান করেনি। ফলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
জামিয়া ইসলামিয়া দারুন নাজাত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার বলেন, বিদ্যুতের লাইন থেকেই বিস্ফোরণ হয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে আল্লাহ রহমত করেছে। প্রাণনাশের কোনো ঘটনা ঘটেনি।