নিজস্ব প্রতিনিধি॥
ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার মাচচর ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রাম ভুমিহীনদের আশ্রয় প্রকল্পে থাকা নাসির শেখ পাচ্চল্লিশ তার নিজ মেয়ে রিক্তা আক্তার বিথীর (১৪) সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সরজমিনে গেলে রিক্তা আক্তার বিথী জানান, যে তার পিতা মোহাম্মদ নাসির শেখ তাকে ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধ-র্ষ-ণ করেন যার ফলে তিনি গ-র্ভ-ব-তী হন। গত ১৫ মে ফরিদপুর মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে তার গ-র্ভ-পা-তে কন্যা সন্তান জন্ম হয়। তার মাতা আলেয়া বেগম ৪০ ওই হাসপাতালের একজন নার্স এর মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন বলে বিথী অভিযোগ করেন।
বিথী আরো বলেন, এই গুচ্ছগ্রামে তারা দুই বছর যাবৎ বসবাস করেন, রিক্তার মা আলেয়া বেগম অন্যর বাড়িতে কাজ করেন, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিক্তা আক্তার বীথিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধ-র্ষ-ণ করতেন তার বাবা এবং তাকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে বলতো এই কথা কাউকে বললে তোকে ছুরি দিয়ে জবো করে মেরে ফেলবো। ভয়ে রিক্তা এই কথা কাউকে বিষয়টি বলতে সাহস পায়নি। অবশেষে গর্ভবতী হয়ে বাচ্চা প্রসব করার পর সত্যটা সামনে বেরিয়ে আসে। রিক্তা বলেন, এই বিষয়ে তার মা তাকে কোন মামলা করতে বলেননি বা যেতেও দেননি।
স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনা জানাজানির পর তারা রিক্তার বাবা মোহাম্মদ নাসির শেখকে আটক করে রাখেন, তখন স্থানীয় ইউ পি মেম্বার রশিদ মোল্লা তাকে ছেড়ে দিতে বলেন, মেম্বার আরো বলেন আমি সন্ধ্যার সময় এসে বিষয়টা সমাধান করব। কিন্তু ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও মেম্বার আসেনি স্থানীয় প্রতিবেশি সহ অনেকেই বলেন, রশিদ মেম্বার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নাসিরের পক্ষ নিয়ে নাসিরকে সুকৌশলে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয় সুজন শেখ বলেন, আমাকে নাসির সেখ ১০ হাজার টাকা অফার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বলেন।স্থানীয় প্রতিবেশী মাহফুজ শেখ বলেন, রিক্তার বাবা মোহাম্মদ নাসির শেখ আমাকেও ১০০০০ টাকা অফার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বলেন। স্থানীয় জনগণ বলছেন, মেম্বার এই ঘটনার নাসির শেখকে বাঁচানোর জন্য ও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্থানীয় প্রতিবেশী মহিলা সহ অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এই নাসির মানে বিথীর বাবা একজন দুশ্চরিত্র খারাপ মানুষ। এখানে তিনি নেশা ও মা-দ-ক বিক্রি করেন এবং নাসির তার দলবল নিয়ে নেশা করেন, মাঝে মধ্যে চুরি-ডাকাতিও করেন। উক্ত জ-ঘ-ন্য ঘটনা আমলে নিয়ে এলাকাবাসি ও স্থানীয়রা নাসিরের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী রিক্তা বলেন, এই ঘটনা আমার বাবা ঘটিয়েছেন আমি সরকারের ও অইনের কাছে তার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার ও কঠিন বিচার চাই, যেন ভবিষ্যতে কোন পাষন্ড বাবা এমন জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়। থানায় কোন অভিযোগ করেছে কিনা তাকে প্রশ্ন করা হলে, উত্তরে বিথী বলেন আমার মা আলেয়া বেগম উনি ভালো জানেন, উনি আসলে আমরা থানায় অভিযোগ করব। আমি আবার ও সরকারের কাছে এবং আইনের কাছে আমার বাবার কঠিন বিচার শাস্তির দাবি করি।
এদিকে স্থানীয় মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মেম্বার ঘটনাকে না জানার ভান করে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি আমি মীমাংসা করার চেষ্টা করব, মেয়েটির মাকে বলেছি দুজনকে একসঙ্গে হাজির করতে।