নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দীর্ঘদিন ধরে ‘শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় ছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে এতদিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতীক তালিকায় শাপলা না থাকায় সেই দাবি মানতে পারছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত নতুন প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করা হয়েছে।
প্রতীক তালিকায় সংযোজন ও বিয়োজন
ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীকের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে ‘শাপলা কলি’ সহ বেশ কিছু প্রতীক সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করে যে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, তাতে ‘শাপলা কলি’ প্রতীকটি ছিল না।
এনসিপি’র প্রতীক দাবি ও ইসির পূর্বের অবস্থান
গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র–তরুণদের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কয়েক মাস আগে ইসির পর্যালোচনায় নিবন্ধনযোগ্য দল হিসেবে বিবেচিত হয়। এর পর থেকেই দলটির নেতারা এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
তবে এই প্রতীক বরাদ্দে অপরাগতা জানিয়ে আসছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। সর্বশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন,
“এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না, কারণ হচ্ছে যে আমাদের ১১৫টার যে শিডিউলটা করা হয়েছে, সেখানে শাপলা প্রতীক নেই।”
এনসিপি নেতার দৃঢ় অবস্থান
তবে প্রতীক না দেওয়ার বিষয়ে কমিশনের এই বক্তব্য সত্ত্বেও আশাবাদী ছিলেন এনসিপি নেতারা। সর্বশেষ গত সোমবার এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই মন্তব্য করে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছিলেন, “যেহেতু আইনগত বাধা নেই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে শাপলা আদায় করে নেব।”
নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত হওয়ার ফলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক নিয়ে যে জটিলতা ছিল, তার নিরসন হলো বলেই মনে করা হচ্ছে।