অনলাইন ডেস্ক ॥
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের (খাতা চ্যালেঞ্জ) আবেদন আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পত্রের জন্য পুনর্নিরীক্ষণ ফি হিসেবে ১৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
আবেদন ও ফি পরিশোধের পদ্ধতি
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি কোনো আবেদন জমা দেওয়া যাবে না।
শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (যে ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে, সেটির উল্লেখ এখানে করা যেতে পারে) গিয়ে প্রথমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বোর্ড নির্বাচন করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে ফি প্রযোজ্য হবে। আবেদনকারীকে একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিতে হবে, যেখানে ফল প্রকাশিত হলে এসএমএস পাঠানো হবে।
পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক ফল দেখতে পারবেন এবং এক বা একাধিক বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য বিষয় নির্বাচন করে ফি পরিশোধের বাটনে ক্লিক করতে হবে। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ে (যেমন বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) ক্ষেত্রে উভয় পত্রের জন্য একসঙ্গেই আবেদন করতে হবে।
প্রদেয় ফি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট অথবা টেলিটক মোবাইল সিমের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। ফি পরিশোধের বিস্তারিত ধাপ ওয়েবসাইটের ‘হেল্প’ বাটনে পাওয়া যাবে।
ফি পরিশোধের পর আবেদনটি ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে চূড়ান্তভাবে জমা দিতে হবে। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, একবার ফি পরিশোধের পর আবেদন বাতিল বা সংশোধন করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরত দেওয়া হবে না।
গতকালের ফল
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একযোগে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় বোর্ডের চিত্র
ফল প্রকাশের তথ্য অনুযায়ী, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল সবচেয়ে বেশি— ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন। এরপর অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে ছিল:
রাজশাহী: ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন
যশোর: ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন
কুমিল্লা: ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন
চট্টগ্রাম: ১ লাখ ৩৫ জন
দিনাজপুর: ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ জন
ময়মনসিংহ: ৭৮ হাজার ২৭৩ জন
সিলেট: ৬৯ হাজার ৬৮৩ জন
বরিশাল: ৬১ হাজার ২৫ জন
এছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।