নেত্রকোনা প্রতিনিধি ॥
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম দৃঢ়ভাবে বলেছেন, তাদের দল শাপলা প্রতীক পেতে আইনগতভাবে সম্পূর্ণ বৈধ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে গণঅভ্যুত্থানের পর আসা বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো স্বেচ্ছাচারিতা করবে না এবং এনসিপি এই প্রতীকেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোনায় এনসিপির জেলা সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
এনসিপির এই নেতা নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আমরা আগামীতে আস্থা রাখতে চাই। সেই নির্বাচন কমিশন যদি কোনো চাপে আমাদের বৈধ অধিকার শাপলা প্রতীক দিতে পিছুটান অনুভব করে, তাহলে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনে আস্থা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।”
শাপলা প্রতীক না পেলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম স্পষ্ট করে দেন যে ‘না পাওয়ার কোনো কারণ নেই’। তিনি বলেন, “আইনগতভাবে যেহেতু কোনো বাধা নেই, তাই শাপলা প্রতীক আমরা পাবই। না পাওয়ার কোনো অপশন নেই। আমরা এটা রাজনৈতিকভাবে বা অন্য যে কোনোভাবে আদায় করে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাব।”
নির্বাচনী ঐক্য ও প্রার্থী বাছাই
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম জানান, এনসিপি সারাদেশে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কাজ করছে। আসনভিত্তিক ও প্রার্থীভিত্তিক বিভিন্ন বিশ্লেষণ করছে একটি বিশেষ টিম। তিনি ইঙ্গিত দেন যে অধিকাংশ প্রার্থী দলীয় হতে পারেন, তবে দলের বাইরেও স্থানীয়ভাবে যোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনী ঐক্য প্রসঙ্গে এনসিপির এই সংগঠক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত বা এমন বড় দলে হলেই যে আমরা তাদের সঙ্গে ইলেক্ট্রোরাল কমিটমেন্টে যাব, এমনটা নয়। আগামীর বাংলাদেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষার সাথে যে দলের কমিটমেন্ট থাকবে, সেই দলের সাথে নির্বাচনী ঐক্য হতে পারে এনসিপির। পরিবর্তনের কমিটমেন্টটা তাদের থাকতে হবে।”
নেত্রকোনা জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত এই সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান। সভায় এনসিপির নেত্রকোনা জেলার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।