অনলাইন ডেস্ক॥
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন।
সরকার আরও একবার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধন করছে। এরই মধ্যে রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে দায়ের হওয়া সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে নতুন অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ডিএসএ-এর আওতায় সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি, তদন্তাধীন মামলাগুলোও বাতিল হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভায় মোট ১১টি অধ্যাদেশ এবং তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন লাভ করে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ৫০ ধারায় নতুন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং সেগুলোর অপরাধে সহায়তার দায়ে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন বা পুলিশ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তাধীন সব মামলা বা কার্যক্রম বাতিল বলে গণ্য হবে। এগুলোর বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া, এই ধারার অধীনে আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ইতোপূর্বে প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানাও বাতিল বলে বিবেচিত হবে।
ভার্চুয়াল জগতে অপরাধ দমনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে এতে থাকা অনেক ‘নিবর্তনমূলক’ ধারা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় ২০২৩ সালে কিছুটা সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটি আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে।
বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।