অনলাইন ডেস্ক ॥
একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে বিমানটিকে জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (২১ জুলাই, ২০২৫) বিকালে আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলাস্থ বিমানবাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। (এই ত্রুটির বিস্তারিত কারণ তদন্তের পর জানানো হবে)।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কমাতে এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানটিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতলা একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।