বিশেষ প্রতিনিধি॥
সাভার নিউমার্কেট ও মাশরুম সেন্টারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার রাস্তার প্রবেশমুখে বিশাল ময়লার ভাগাড় পরিবেশের জন্য এক গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনের আবর্জনা স্তূপীকৃত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা শুধু স্থানীয় ও আগত ক্রেতা সাধারনের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে না, বরং মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি করছে।
এই ভাগাড়টি একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে, তেমনি অন্যদিকে পরিবেশের ওপর ফেলছে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব। পচা আবর্জনা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস বাতাসকে দূষিত করছে, যা শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগের কারণ। বর্ষাকালে এই ভাগাড় থেকে নোংরা জল ছড়িয়ে পড়ে, যা এলাকার মাটি, জল ও জনসাধারণকে দূষিত করে এবং মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
শুধু তাই নয়, এই ময়লার ভাগাড় এলাকার জীববৈচিত্র্যের জন্যও একটি বড় হুমকি। খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলার কারণে বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণু ও রাসায়নিক পদার্থ মাটিতে মেশে, যা মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। পলিথিন ও অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্য দীর্ঘকাল ধরে পরিবেশে টিকে থাকে এবং পরিবেশ দূষণ অব্যাহত রাখে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা সাধারণ উভয়েই এই পরিস্থিতিতে চরম discomfort অনুভব করছেন। নিউমার্কেট ও মাশরুম সেন্টারে আগত মানুষজনকে আবর্জনার স্তূপ এবং দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলতে হচ্ছে, যা স্বাভাবিক কেনাকাটার পরিবেশকে ব্যাহত করছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এই সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সাভার পৌরসভা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত আবর্জনা অপসারণ, আধুনিক ল্যান্ডফিল স্থাপন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করার জন্য সাভার নিউমার্কেট ও মাশরুম সেন্টারের সামনের এই ময়লার ভাগাড় অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। অন্যথায়, এই পরিবেশ দূষণ শুধু বর্তমান প্রজন্ম নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।