মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের সালথায় বুধবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় ১টি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মোছাঃ শাহিনূর বেগম (২৫), স্বামী-রবিউল সরদার, সাং- নারানদিয়া, ইউনিয়ন-ভাওয়াল, থানা-সালথা, জেলা-ফরিদপুর, তিনি জানান গত মঙ্গলবার রাত অনুমানিক ০৯.০০ টার সময় আমি আমার অসুস্থ্য শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই পরে, রাত অনুমান ০১.০০ টার সময় (২৭ নভেম্বর) শশুর শাশুড়িকে হাসপালে ভর্তি রাখিয়া আমি আমার পরিবারের লোকদের সাথে বাড়িতে চলে আসি। রাত্র অনুমান ০২.০০ টার সময় খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ি পরে, সকাল অনুমান ০৬.০০ টার দিকে ঘুম থেকে জাগিয়া বাহিরে যাওয়ার জন্য দরজা খুলতে গিয়ে দেখি বাহির থেকে দরজা বন্ধ করা।
পরে ঘরের অন্য দরজা খুলতে গেলে দেখি ঘরের ভিতরের আসবাব পত্র এলোমেলো। আমার ছোট জা ছনিয়ার ঘরের ওয়াড্রপের তালা খোলা এবং ভিতরে রক্ষিত জমি ক্রয়ের জন্য রাখা নগদ সাত লক্ষ তেইশ হাজার টাকা নেই। উক্ত টাকার মধ্যে তিন লক্ষ টাকা আমার স্বামী নটখোলা গ্রামের ভোগনিপতি ইনামুলের নিকট থেকে হাউলাত আনা, নগরকান্দা ব্রাক ব্যাংক থেকে আমার রেশমা কতৃক উত্তলোন কৃত টাকা, চান্দাখোলা গ্রামের আমার ভাতিজা কামাল হোসেনের নিকট থেকে ৮৫,০০০ হাজার টাকা হাউলাত কৃত।
আমার কক্ষের ড্রেসিন টেবিলের তালা ভাঙ্গা এবং ভিতরে রক্ষিত দুইটি স্বর্নের হার ওজন অনুমান ৩ ভরি মূল্য অনুমান চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, দুইটি স্বর্নের রুলি ওজন অনুমান দুই ভরি মূল্য অনুমান দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা, তিন জোড়া কানের স্বর্নের দুল ওজন অনুমান ২ ভরি মূল্য অনুমান দুই লক্ষ এিশ হাজার টাকা, তিনটি স্বর্ণের আংটি ওজন অনুমান আট আনা মূল্য অনুমান ষাট হাজার টাকা, দুইটি বিদেশি কম্বল নাই। তখন আমি বুঝতেপারি ঐদিন দিবাগত রাত্র অনুমান ০২. ঘটিকা হইতে ইং ২৭ নভেম্বর সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত নামা চোর / চোরেরা আমাদের বসত ঘরের কেচিগেটের তালা ভেঙ্গে সংগপনে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে উল্লেখিত নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার এবং আমাদের জমির যাবতীয় দলিল ও পর্চাসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপাতি চুরি করিয়া নিয়া গেছে।
আমার সন্দেহ হয় এই চুরির ঘটনার সাথে আমাদের একই গ্রামের চোর সাগর শরিফ (২৪), পিতা-মৃত রতন শরিফ জড়িত। বিভিন্ন সময় সে আমার খোঁজ-খবর জানতে চাইতো এবং অধিক রাতে তাকে আমার ঘরের চার পাশদিয়ে ঘুরাফেরা করিতে দেখছি। উক্ত ঘটনা এলাকার অনেকে জানে।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।