মো. নাসির খান (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি ॥
শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের কাসিমপুর চৌরাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। মহাসড়কটি অবরোধ করায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাসিমপুর চৌরাস্তা মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কোটা সংস্কারের এক দফা দাবির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রংপুর, ঢাকাসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিসহ হামলা করেছে পুলিশ-ছাত্রলীগ।এই হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে কমপ্লিট সাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে।শরীয়তপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকার দলীয় ছাত্রলীগ ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টা শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের কাসিমপুর চৌরাস্তা সাটডাউন করে দেয়।এতে সড়কটির দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধের সময় শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী বিভিন্ন প্রতিবাদী গান পরিবেশনসহ সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা, আমার ভাই মরল কেনো, প্রশাসন জবাব দে, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ, কোটা না মেধা, মেধা মেধা, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট সাটডাউন কর্মসূচিতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে যানচলাচল অচল হয়ে পড়লে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসে।কিন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুংকারে ছাত্রলীগ পিছু হটতে বাধ্য হয়।পরবর্তীতে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মো. জারিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি।দ্রুত এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এখন পর্যন্ত আমার ৭ জন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন কিছু সময়ের জন্য।পরে তারা আবার রাস্তা ছেড়ে চলে গেছেন, এখন রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক আছে।