শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম :
২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের সরবরাহ ১.৫% বৃদ্ধি, শীর্ষে স্যামসাং ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখার দাবিতে ঢাবিতে অবস্থান কর্মসূচি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জনসমাবেশ ও প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি হাট দখল ও খাজনা তোলা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৬ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে রাস্তায় হাজারো মানুষের মিছিল পহেলা বৈশাখের আনন্দযজ্ঞে ধামরাই বিএনপির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ঈদের ছুটি শেষে ধীরে ধীরে চেনারূপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গীকার হোক সত্য প্রকাশ করা : কাদের গনি চৌধুরী আওয়ামী লীগের টাকার লোভে না পড়তে দলীয় নেতাদের প্রতি শামা ওবায়েদের হুঁশিয়ারি পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় পাবনার কাশিনাথপুরে কৃষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মিথ্যা মামলায় চাকরি হারিয়ে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪
  • ১১৫ Time View

নড়াইল প্রতিনিধি ॥
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামের সৈয়দ বকুল আলী ও তার পরিবারের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে করফা গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ হিশাম উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শাহিনুজ্জামান, ভুক্তভোগী সৈয়দ বকুল আলী, তার মা ফুলজান বেগম, ভাবী নাজনীন বেগম, মিনা বেগম, এলাকাবাসী সৈয়দ ফেরদাউস, মুক্তার আলী, এরদাউস আলী, মোহাম্মদ আনজাল গাজী, সৈয়দ রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সিরি গাজী, সৈয়দ আকবর হোসেন, নিরু বেগম, তৃপ্তি আলম, পালন বেগম, মিলন বেগম, ফেরদৌসী বেগম, শেখ মুস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, সৈয়দ বকুল আলী পাশের ইতনা গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস সাদিয়াকে প্রায় আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস পর সাদিয়ার পরকীয়া প্রেম ধরা পড়ায় স্বামী বকুল আলীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে মল্লিকপুর ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে দুইপক্ষের মধ্যে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও কোনো কাজ হয়নি। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামী বকুল আলী, তার মা, বোন ও ভাবীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা নারী নির্যাতন এবং যৌতুক মামলা দিয়েছে। এ মামলায় বকুল আলী একমাস হাজতও খেটেছেন।

বক্তারা আরো বলেন, বকুল আলীর পরিবার নিরিহ প্রকৃতির। তাদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য কোনো দ্বন্দ ও মামলা নেই। অথচ ষড়যন্ত্রমূলক যৌতুক মামলার কারণে পরিবারে ভোগান্তি বেড়েছে। বকুল দীর্ঘদিন জাহাজে চাকরি করেছে। স্ত্রীর মামলার কারণে একমাস কারাগারে থাকায় তার চাকরিটাও চলে গেছে। এ কারণে বকুল ও তার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ভুক্তভোগী সৈয়দ বকুল আলী বলেন, বিয়ের পর জানতে পারি আমার স্ত্রী সঙ্গে তার চাচাতো ভাইয়ের পরকীয়া রয়েছে। আমাদের পরিবারের মান-সম্মানের ভয়ে সবকিছু মেনে নিলেও সাদিয়া আমাকে কোনো ভাবে মেনে নিতে পারেনি। সে পরকীয়া ও টিকটকে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। আমি জাহাজে চাকরিতে গেলে সে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তার মোবাইল ফোনে অনৈতিক সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও দেখে ফেলায় উল্টো আমাকে শাসিয়ে দেয়। প্রায় সাত মাস আগে আমার স্ত্রী স্বর্ণালংকার, পোশাকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।

এ সময় আমরা ভিডিও করেছি। অথচ আমার নামে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিয়েছে। আমার স্ত্রী নিজের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে পুলিশ ও আদালতে ডাক্তারি রিপোর্ট দাখিল করে আমাদের পরিবারের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ডাক্তারি রিপোর্টে স্ত্রীর শরীরে যে ক্ষত চিহৃ উঠে এসেছে, তা ‘ডিএনএ বা ফরেনসিক’ পরীক্ষার মাধ্যমে তদন্ত করলে কে বা কারা তাকে কামড়িয়ে ক্ষত করেছে, তা উঠে আসবে। এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে বকুলের স্ত্রী সাদিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও কোনো সাড়া দেননি। এরপর সাদিয়ার বাবার বাড়ি ইতনা গ্রামে গেলে ঘর থেকে বের হয়নি। এ সময় সাদিয়া ও তার দুই চাচী সাংবাদিকদের উল্টোপাল্টা কথা বলেন। সাদিয়ার মা-বাবা বাড়িতে নেই বলেও দাবি করেন তারা।

সাদিয়ার শরীরে ক্ষতচিহেৃর বিষয়ে জানতে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সাদিয়া নামে এক গৃহবধূ হাসপাতালে আসেন। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাদিয়ার শরীরে কামড়ানোর ক্ষতচিহৃ দেখা যায়। তবে কে বা কারা কামড়িয়ে তাকে ক্ষত করেছে, সেটা বের করতে ডিএনএ বা ফরেনসিকসহ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার প্রয়োজন।

লোহাগড়া থানার এসআই বাবুল বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা বকুলদের বাড়িতে যাই। পুলিশের উপস্থিতিতে শ্বশুর বাড়ি থেকে সাদিয়াকে বাবার বাড়ি ইতনা গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তার শরীরে কোনো ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। নির্যাতনের কোনো কথা তিনি আমাদের জানাননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102