মিরন খন্দকার।।
২০২৩ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া এল নিনো ঘটনা, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এর ফলে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার অনেক দেশে তাপপ্রবাহের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। এর প্রভাব বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে বেশি অনুভূত হচ্ছে, কারণ এসব দেশের অবকাঠামো এবং জনগণের তাপপ্রবাহ মোকাবেলা করার ক্ষমতা কম।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাস বাংলাদেশের জন্য ছিল অস্বাভাবিকভাবে গরম। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গিয়েছিল, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র গরমে নাজুকুলে ছিল প্রকৃতি। দীর্ঘদিন ধরে আকাশে মেঘের দেখা মিলছিলো না।বাতাসে ছিল শুধু গরমের তীব্রতা। রোদের তাপে পুড়ে যাচ্ছিল শস্যক্ষেত, বনভূমি, এমনকি শহরের রাস্তাঘাটও। মানুষজন হতচ্ছাড়ায়, ক্লান্ত, অসুস্থ।
কিন্তু অবশেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে এলো মুক্তির বার্তা। মেঘে ছেয়ে গেলো আকাশ। হালকা বাতাস বয়ে এলো। আর তারপর শুরু হলো বৃষ্টি।
প্রথমে ছিল ফোঁটা ফোঁটা। ধীরে ধীরে তীব্র হতে লাগলো বৃষ্টি। পাতায়, মাটিতে, ছাদে, রাস্তায় – সর্বত্র ঝমঝম করে পড়তে লাগলো বৃষ্টির পানির ফোঁটা।
বৃষ্টির সাথে সাথেই যেন বদলে গেলো পুরো পরিবেশের চিত্র। ধুয়ে গেলো ধুলোবালি। ঠান্ডা হলো বাতাস ও আবহাওয়া। শস্যক্ষেত ও বনভূমিতে নতুন করে জীবন্ত হয়ে উঠলো প্রকৃতি।
মানুষজন বেরিয়ে এলো ঘরের বাইরে। মুখে হাসি, মনে আনন্দ। ছোট্টরা ছুটাছুটি করে আনন্দের সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো। এই বৃষ্টি শুধু ঠান্ডা আনেনি, এনেছে নতুন করে আশার সঞ্চার। বৃষ্টির পানিতে শস্যক্ষেত শ্যামল হয়ে উঠছে। ফসল ফলবে মাঠে। খরা থেকে মুক্তি পাবে দেশ।
তীব্র গরমের পর এই রহমতের বৃষ্টি সত্যিই আমাদের সকলকেই মনে করিয়ে দিয়েছে, প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী। তীব্র গরমের পর এই রহমতের বৃষ্টি ছিল যেন এক অমূল্য উপহার।