ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি ॥
ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে দখল ও বসবাস করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি ও উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রভাবশালীদের দখলে জনস্বার্থের জমি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুল্লা ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত এই সরকারি খাস জমিটি মূলত জনস্বার্থে সংরক্ষিত থাকার কথা। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে জমিটি দখল করে সেখানে পাকা ও আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি সম্পত্তি এভাবে প্রকাশ্যে দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকায় অন্যান্যরাও দখল প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত হচ্ছে, যা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে।
নাগরিক সমাজের উদ্বেগ ও দাবি
কুল্লা ইউনিয়নের একাধিক সচেতন নাগরিক বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানান, অবৈধ দখলদারির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে বারবার অবহিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে এবং দখলদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন যে, প্রশাসন যেন কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাস জমি পুনরুদ্ধার করে।
প্রশাসনের বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি তাদের নজরে আছে। তাঁরা আরও জানান, অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দখলমুক্তির সময়ক্ষেপণে আশঙ্কা
তবে স্থানীয়দের শঙ্কা, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই খাস জমি দখলমুক্ত করা ভবিষ্যতে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে। এলাকাবাসী সরকারের দখলবাজ বিরোধী অবস্থানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে অবিলম্বে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।