নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা ॥
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তিনি কোনো ‘বড় বংশ’ বা ‘টাকাপয়সার’ জোরে রাজনীতিতে আসেননি। তিনি একজন রাজমিস্ত্রির ছেলে হিসেবে গ্রামের খেটেখাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করতে চান।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১২নং ভানী ইউনিয়নে এনসিপি’র প্রতীক ‘শাপলা কলি’ নিয়ে একটি পথসভা ও পদযাত্রায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমি রাজমিস্ত্রির ছেলে। আমি গ্রামের খেটেখাওয়া মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছি। যারা কর্মজীবী, যারা পরিশ্রম করে রোজগার করেন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি আসছি। আমার বড় কোনো বংশ পরিচয় নাই। আমার অনেক টাকাপয়সা নাই। আমি বিদেশে পড়াশোনা করি নাই। ঘি খেয়ে বড় হইনি। ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি পরে বুকে জড়িয়ে ধরে ফটো তুলতে আসিনি।”
তিনি নিজের উত্থান প্রসঙ্গে বলেন, অন্য নেতারা ওপরের স্তর থেকে নিচে আসেন, কিন্তু তিনি নিচ থেকে-সাধারণ মানুষের স্তর থেকে-উপরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। আপনাদের মতো কৃষিজীবী এবং শ্রমজীবী পরিবার থেকে আমি উঠে এসেছি।”
বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেন, যারা নেতা বানায়, নেতারা তাদের মানুষ বলেই মনে করেন না। খেটেখাওয়া মানুষদের তারা নিচুশ্রেণির মানুষ মনে করেন। তিনি বৈষম্য তুলে ধরে বলেন, “স্টেজে নেতার চেয়ার হচ্ছে বাইশ ইঞ্চি। আর কর্মী এবং ভোটারদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার।”
শ্রমজীবী মানুষের ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এবার আপনারা চাইলে প্লাস্টিকের চেয়ার থেকে নেতা বানাতে পারেন। আপনারা নেতা নয়, পাহারাদার এবং সেবক বানান। দারোয়ান বানান।”
তিনি আরও বলেন, “নেতাদের কাজ হচ্ছে দারোয়ান এবং পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু জনগণের ভোট নিয়ে তারা নেতা হয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগে।”