নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর গাড়িবহর হাসপাতালের গেটে প্রবেশ করে এবং তিনি প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হাসপাতালে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ. জে. এম. জাহিদ হোসেন ও অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার। এছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার।

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে চতুর্থ তলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) যান সংশ্লিষ্টরা। সেখানে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁর চিকিৎসক দল প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ করেন। তাঁরা জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জনস হপকিন্স এবং যুক্তরাজ্য ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় তাঁর চিকিৎসা চলছে।

হাসপাতালে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা বেগম জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও পুনর্ব্যক্ত করেন।

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এসময় কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় হাসপাতালের প্রধান ফটক।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌ-বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। একইদিন রাতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।