বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম :
সত্যের বিজয় ঐতিহাসিক মাইলফলক: ইউনেস্কো সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত বাংলাদেশ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ভাবনা: শিক্ষকের মর্যাদা বাড়াতে হবে, নয়তো থমকে যাবে জাতির অগ্রগতি সাংবাদিকদের সপ্তাহে দুই দিন ছুটির দাবি, সঙ্গে ১০ দফা প্রস্তাব বিএফইউজে’র ফরিদপুর র‌্যাব ১০এর অভিযানে ২১ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার শিক্ষক বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে ঢাকাসহ দেশজুড়ে বৃষ্টি, বাড়তি সতর্কতা জারি বিসর্জন ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নারায়ণগঞ্জে শেষ হলো দূর্গা পূজা ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক আর নেই

বিভাগীয় বিভাজন বিতর্ক: মাদারীপুর-শরীয়তপুরের ‘ঢাকা-প্রীতি’ বনাম ফরিদপুরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে সম্প্রতি আন্দোলন শুরু হয়েছে যে তারা প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে থাকতে চান না। তাদের মূল যুক্তি হলো, ঢাকার সাথে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং বিভাগীয় কাজকর্মের জন্য ঢাকা অধিক সুবিধাজনক।

তবে এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠেছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভাগীয় সদর দপ্তরের গুরুত্ব কতটুকু?
প্রতিবেদকের প্রশ্ন, বর্তমানে যখন বিভাগীয় সদর দপ্তর ঢাকায়ই রয়েছে, তখন সাধারণ জনগণের ঠিক কোন কোন প্রশাসনিক কাজের জন্য ঢাকায় যেতে হয়? প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ থাকলেও সাধারণ জনগণের বিভাগীয় সদর দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কতটা— সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জীবনে একবারও বিভাগীয় সদর দপ্তরে কোনো কাজে গিয়েছেন, এমন লোকজনের কাছে উদাহরণ চাওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কেন এখনো ‘কেন্দ্র’?
মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের আন্দোলনকারীরা ঢাকামুখী হওয়ার যুক্তি দেখালেও ঐতিহাসিক এবং বাস্তবিক চিত্র ভিন্ন।

জমিজমার নিয়ন্ত্রণ: প্রায় ব্রিটিশ আমল থেকেই এই ৫ জেলার জমিজমার কাজ এখনো ফরিদপুর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।

শিক্ষা ও চিকিৎসা: রাজেন্দ্র কলেজসহ ফরিদপুরের সরকারি কলেজগুলোতে এই দুই জেলার বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। চিকিৎসা, শিক্ষা, শপিং এবং চাকরির ক্ষেত্রে এই অঞ্চল তথা জেলাগুলো ঐতিহাসিকভাবে ফরিদপুর-কেন্দ্রিক। শুধু এই ৫ জেলাই নয়, মাগুরা ও কুষ্টিয়ার একটি অংশও ফরিদপুর-নির্ভর।

প্রশ্ন উঠেছে, ঢাকার এত কাছে থেকেও এত বছরে কেন মাদারীপুর ও শরীয়তপুর ঢাকামুখী হতে পারেনি এবং ফরিদপুর বিভাগ হলে তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত উন্নতি কেন থেমে যাবে?

আসল কারণ কি ‘ইগো’?
প্রতিবেদকের মতে, এই আন্দোলনের পেছনে অন্য কোনো বড় কারণের চেয়ে ‘ইগো’ বা আত্ম-অহংবোধই প্রধান। তিনি মনে করেন, যদি প্রস্তাবিত বিভাগের নাম ‘পদ্মা বিভাগ’ হতো, কিংবা সদর দপ্তর গোপালগঞ্জে রাখা হতো, তবে এই আপত্তি হয়তো থাকত না।

কেন প্রয়োজন ফরিদপুর বিভাগ?
ফরিদপুরকে কেন্দ্র করে বিভাগ চাওয়ার মূল কারণ হলো ভবিষ্যৎ অবকাঠামোগত উন্নয়ন। ফরিদপুর বিভাগ হলে:

কালক্রমে এই অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে।সিটি কর্পোরেশন হবে।ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন গড়ে উঠবে।কর্মসংস্থান বাড়বে।

প্রতিবেদকের যুক্তি, এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুফল কেবল ফরিদপুর নয়, বরং আশেপাশের সকল জেলা, অর্থাৎ মাদারীপুর ও শরীয়তপুরও পাবে। নতুন বিভাগ গঠিত হলে এই অঞ্চলের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে বরং উপকৃতই হবেন।

যৌক্তিক আলোচনার আহ্বান
আন্দোলনকারীদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, যদি তারা আন্দোলন করেন, তবে যেন যৌক্তিক এবং জোরালো পয়েন্ট সহ করেন। অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন আন্দোলন না করে, যারা তাদের ভুল তথ্য দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন, তাদের কাছে বিভাগীয় সদর দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাজগুলোর উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে।

ফরিদপুরের উন্নয়ন মানেই আশেপাশের জেলাসহ সংশ্লিষ্ট সকল জেলা এর সুফল পাবে, এই বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102