ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি ॥
ধামরাইয়ের ঢুলিভিটায় অবস্থিত আমিন মডেল টাউন কাঁচাবাজারের শেয়ার কেনাবেচা নিয়ে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মো: ফারুক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী এক সাংবাদিকের দাবি, ফারুক তার কাছে ৩৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ১৪ লাখ টাকা নিলেও, পরে বাজার কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সেই চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিরন খন্দকার, যিনি ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনির বাসিন্দা এবং একটি পত্রিকার সহকারী সম্পাদক, জানান— তিনি আমিন মডেল টাউন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত কাঁচাবাজারের শেয়ার মো: ফারুকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। লিখিত চুক্তি অনুযায়ী, ফারুকের ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল, যার মধ্যে তিনি তিন ধাপে মিরন খন্দকারের কাছে ৩৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেন। এই শেয়ারের বিনিময়ে মিরন তাকে মোট ১৪ লাখ টাকা দেন। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, ফারুক তার বিক্রি করা শেয়ারের সব ধরনের লভ্যাংশ, মূলধন ও ভোগ দখলের অধিকার মিরন খন্দকারকে হস্তান্তর করেছেন।
মিরন খন্দকারের অভিযোগ, মো: ফারুক একজন প্রতারক জেনেও আমিন মডেল টাউন কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে আঁতাত করে চুক্তিটি বাতিল করেছে। জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩শে মার্চ আমিন মডেল টাউন কর্তৃপক্ষ ফারুক গংদের সঙ্গে একটি কাঁচাবাজার পরিচালনার জন্য ভাড়া চুক্তি করে, যার মেয়াদ ছিল ২০২৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ২০২৫ সালের ১৭ই আগস্ট, কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই ফারুক গংদের সঙ্গে করা সেই চুক্তি বাতিল করে দেয়। আপসনামার মাধ্যমে ফারুককে নগদ টাকা ও চেক হস্তান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী মিরন খন্দকার জানান, আপস-মীমাংসার প্রায় চার মাস আগেই (২০২৫ সালের ১০ই মে) তিনি বাজারের শেয়ার ক্রয়ের সব দলিল ও নথিপত্র আমিন মডেল টাউনের অ্যাডমিন অফিসারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এ বিষয়ে একাধিকবার তিনি আমিন মডেল টাউনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিনের সঙ্গে কথা বলেন এবং অনুরোধ করেন আপস-মীমাংসার সময় তাকে উপস্থিত রাখার জন্য। চেয়ারম্যান তাকে বারবার আশ্বাসও দিয়েছিলেন যে, তাকে ছাড়া কোনো মীমাংসা করা হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে অন্ধকারে রেখেই চুক্তিটি বাতিল করা হয় এবং ফারুককে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মিরন খন্দকার বলেন, “ফারুক একজন প্রতারক, এটা জানা সত্ত্বেও কীভাবে কর্তৃপক্ষ আমার প্রাপ্য টাকা আমাকে না দিয়ে ফারুককে দিল?”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো: ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, আমিন মডেল টাউনের কর্ণধার আলহাজ্ব আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী মিরন খন্দকার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং তার প্রাপ্য টাকা দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।