অনলাইন ডেস্ক ॥
দেশের আর্থিক খাত একসময় ‘অকল্পনীয়’ সংকটে ছিল, যা এখন স্থিতিশীলতার পথে ফিরে আসছে। গত এক বছরে এই খাতকে খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক খাতের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা গভীরভাবে ছড়িয়ে আছে, তবে কিছু সৎ ও দক্ষ মানুষের প্রচেষ্টায় আমরা সংস্কারের চেষ্টা করছি। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, আর্থিক খাতকে আইসিইউ থেকে কেবিনে এবং সেখান থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
ফ্যাসিবাদমুক্ত করার দাবি
অনুষ্ঠানে সাবেক ব্যাংকার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক এখনও পুরোপুরি ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের শাস্তি দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমানও এই মত সমর্থন করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মূল্যস্ফীতি এবং নতুন আইনের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জুলাইয়ের শহীদদের ত্যাগ আমরা ভুলব না এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাব। তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমানতকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
গভর্নর আরও জানান, আর্থিক খাত ঢেলে সাজাতে একটি নতুন ব্যাংক কম্পানি আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, যার খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, এই আইন পাস হলে ব্যাংকিং খাত একটি স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরে আসবে।
শহীদ পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫ আগস্টের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৮৫২ জনের গেজেটভুক্ত পরিবারের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকগুলো মিলে শহীদ ও আহতদের মোট ১৬ হাজার পরিবারে এই অর্থ পৌঁছে দেবে।