মো: নাসির খান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি॥
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স) সদস্য পরিচয় দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন হাসান মাহমুদ নিশাত (৩৪) নামের এক যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে, নড়িয়া পৌরসভার মাজেদা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আটক নিশাত নড়িয়া পৌরসভার প্রেমতলা গ্রামের সিরাজুল হক মল্লিকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ নড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম বেপারীর নামে ডিজিএফআই সদর দপ্তরে ১৮টি অভিযোগ রয়েছে—এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে সেগুলো প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন নিশাত। বিনিময়ে সে ইব্রাহিমের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এরই অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে ইব্রাহিমের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা নেন তিনি।
৫ আগস্ট মঙ্গলবার বাকি ৫ লাখ টাকা নিতে ঘটনাস্থলে গেলে, ইব্রাহিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিশাতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ভুক্তভোগী ইব্রাহিম বেপারী বলেন, “নিশাত ডিজিএফআইয়ের পরিচয়ে ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। আজ আরও ৫ লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমার কাছে নগদ টাকা না থাকায় সে চেক নিতে রাজি হয়। চেক দেওয়ার সময় পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়।”
বিষয়টি নিশ্চিত করে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. সৈয়দ আশিক মাহমুদ বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”