নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ॥
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে ভোট আদায় করে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে যে আন্দোলন করেছে, তা কেবল ভোটের জন্যই। আমরা এই সরকারের কাছ থেকে সেই ভোট আদায় করেই ছাড়ব।’
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদল ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সরকারের ভেতর-বাইরে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রকেই অপ্রতিরোধ্য মনে করে না। তিনি মনে করেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকে যদি একটি ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হতো, তবে সেদিনই সরকারের পতন ঘটত। তবে পুলিশের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি জুলাই-আগস্ট না হতো, তবে অন্য কোনো মাসে আন্দোলন করে বিএনপি এই সরকারকে ফেলে দিত।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘গতকাল একজন বলছিলেন, যদি এইটা না হয়, যদি ওইটা না হয়, তাহলে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এক ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়ে আরেক ফ্যাসিবাদকে আনব না। আমরা তো তাই বলছি। আমরাও প্রতিরোধ করব।’
একই অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা যে কথাবার্তা বলছেন, আমার মনে হয় আপনারা সরকারের মুখপাত্র হয়ে কথা বলছেন। আপনাদের বয়স, মেধা ও অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় না যে এই কথাগুলো আপনাদের মুখ থেকে আসছে। অন্য কারও প্ররোচনায় আপনারা এসব কথা বলছেন, এতে কোনো লাভ হবে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেন। যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত যুবদলের ৭৮ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থকের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতেও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।