অনলাইন ডেস্ক ॥
ঢাকা: আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বাছাইকৃত ক্যাডারদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর মেজর সাদেকুল হক সাদেককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১ আগষ্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস-এ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের সামরিক অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, মেজর সাদেক বর্তমানে সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মেজর সাদেক?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেজর সাদেক কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যানুসারে, তিনি মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচল এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। গত ৮ জুলাই ঢাকার ভাটারা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে এমন একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের দুই দিন আগেই বিশেষ টোকেন সরবরাহ করা হয়েছিল।
সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মেজর সাদেকের স্ত্রী, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিনও এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন। মেজর সাদেক ও তার স্ত্রী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেন।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এই সরকার উৎখাতের পুরো পরিকল্পনাটি ভারত থেকে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কলকাতা থেকে এর সার্বিক সমন্বয় করছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। এই ষড়যন্ত্রে আরও যুক্ত আছেন দিল্লিতে পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।
এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং এর পেছনের রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্ত চলছে।