বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঢাকা: গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। একইসাথে, আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দিতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঢাকায় পৌঁছেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) এই দলটি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট (এনআইবিপিএস) পরিদর্শন করে আহতদের শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সিঙ্গাপুরের এই মেডিকেল টিম আহতদের আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখবে। তারা প্রতিটি রোগীর অবস্থা পৃথকভাবে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রোগীদের অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হওয়ায় প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর তাদের চিকিৎসা পর্যালোচনা করা হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নাসির উদ্দীন জানান, সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিম কতদিন বাংলাদেশে অবস্থান করবে, সে বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। এছাড়া, আহতদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়েও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ডা. নাসির উদ্দীন আরও জানান, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এ পর্যন্ত মোট ৪৪ জন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: ৮ জন ‘ক্রিটিক্যাল’, ১৩ জন ‘সিবিআর’ (সম্পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন) এবং ২৩ জন ‘ইন্টারমিডিয়েট’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২৮ জন নিহতের খবর জানানো হয়েছিল। আহতদের মধ্যে ৫৭ জন বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ ভোররাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৯ বছর বয়সী নাফিস নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে পৌঁছাল। এর আগে এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাফিসের বোনও মৃত্যুবরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছিল, এ বিমান দুর্ঘটনায় মোট ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন।