অনলাইন ডেস্ক ॥
ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যেই দেশে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। গত এক মাসে ডেঙ্গু ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন করে, অর্থাৎ মোট ৪৬ জন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে ৪৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু ও করোনা সংক্রমণের এই দ্বৈত পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি:
গত এক মাসে সারা দেশে ৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগীর সংখ্যাই বেশি। উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসছেন। রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে করোনা রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীরাও ভর্তি হচ্ছেন। গত এক মাসে এ হাসপাতালে ১০০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল (ডা.) তানভীর আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত জুলাইয়ের পর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে, কিন্তু এবার জুনের মাঝামাঝি থেকেই এর প্রভাব শুরু হয়েছে এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
করোনা পরিস্থিতি:
ডেঙ্গুর পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত এক মাসে করোনায় ২৩ জন মারা গেছেন এবং ৪৩৩ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৬১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। কুমিল্লা, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীরা ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে আসছেন। ভর্তি হওয়া অন্তত ৪০ শতাংশ করোনা রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে, যা ভাইরাসের ভয়াবহ রূপ ধারণ করার ইঙ্গিত দেয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গু ও করোনার এই সহাবস্থান জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা এখন অত্যন্ত জরুরি।