নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ঢাকার ধামরাই উপজেলার চুলিভিটা এলাকায় একটি ইজারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ গ্রুপের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ইজারা গ্রহণের পর থেকেই এই গোষ্ঠী এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত ১৪ এপ্রিল ২০২৫, পহেলা বৈশাখ থেকে মুরাদ গ্রুপের সদস্য ধামরাইয়ের দক্ষিণপাড়ার সুজন, ধামরাই মলাঘাট পৌরসভার সামনের টুটুল, বউবাজারের লিমন, লাকুরিয়াপাড়ার ওসমান, গোয়ারী পাড়ার মোবারক, বিজয়নগরের আনিস এবং ছয়বাড়িয়ার ফারুকসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন নেতাকর্মীর একটি দল ইজারার কথা বলে ঢুলিভিটা আমিন মডেল টাউন এলাকার আশেপাশে মালিকানা ও সিএন্ডবির জায়গা থেকে ব্যবসা ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং এই চক্রটি স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি মুরাদ গ্রুপের অত্যাচারে তাদের অসহনীয় অবস্থার কথা জানিয়েছেন। ভয়ে মুখ খুলতে না পারলেও, স্থানীয় কিছু সাহসী ব্যক্তি ইতোমধ্যে প্রশাসনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তারা অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং সাধারণ মানুষকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, সিএনবির একটি জায়গা উপজেলা ইউএনও কর্তৃক ইজারা দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া, পৌরসভার অনুমতি নিয়ে মালিকানা জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হলেও, সেখানকার বিদ্যুৎ বিল, দোকান ভাড়া, সিকিউরিটি গার্ড ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বেতনসহ যাবতীয় অর্থ মুরাদ গ্রুপ কর্তৃক আদায় করা হচ্ছে, যা এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা মেনে নিতে পারছেন না। এমতাবস্থায়, তারা গণমাধ্যমের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করছেন। অন্যদিকে, মুরাদ গ্রুপের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধামরাই কাঁচা বাজার ও মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন।