রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম :
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত: ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলায় কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য হতো দরিদ্র পরিবারকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলন আমার বাবা, আমার প্রেরণা ! সংবিধান সংস্কারের পথ পদ্ধতি নিয়ে সমঝোতা না হলে তা হবে শহীদদের রক্তের সাথে প্রতারণা এখানে দলের নির্দেশে এসেছি, হঠাৎ করে আসি নাই: শহিদুল ইসলাম বাবুল আশুলিয়ায় ঢাকা লিগ্যাসি লিমিটেডের প্রকল্পে হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ: মামলা দায়ের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত নির্বাচন সময়সীমা নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নেই: আজহারুল ইসলাম জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য: নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী রমজানের আগেই নির্বাচন: তারেক রহমানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা শিশুর স্বপ্ন বুনতে মাদ্রাসায় নারিকেল চারা রোপণ: এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ খুলনাতে

হতো দরিদ্র পরিবারকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলন

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ১ Time View

মো: সামাদ খান, ফরিদপুর প্রতিনিধ ॥
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার দারাজ উদ্দীন মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামের আলিম মুন্সীর পরিবারকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ ধারাবহিক ভাবে হামলা মামলা ছাড়াও হুমকী প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। রোববার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকদের কাছে আলিম মুন্সীর স্ত্রী জাহেদা বেগম। এদিকে পরিবারের সদস্যদের উপর বার বার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারী জানান যে , গত ৩১ মে প্রতিপক্ষের সিয়াম খান ও তার মা ঝরনা বেগম তাদের পক্ষের আরো দুইজনকে নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তার (জাহেদা বেগম) স্বামী আলিম মুন্সীকে মারধর করে আহত করে। তিনি জানান, কয়েক দিনের ঘন বৃষ্টিতে তার বাড়ীর মাটি ধুয়ে প্রতিবেশী সিয়াম খা’র জমিতে যায়, যা তুলতে গেলে সিয়াম খা’র মা ঝর্ণ বেগম গালমন্দ করে। কিছু সময়ের মধ্যে তারা সংগঠিত হয়ে স্বামী আলিম মুন্সীর উপরে হামলা চালায়। এতে আলিম মুন্সী আহত হলে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু ওই মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি, ফলে বাধ্য হয়ে ০১ জুন তারিখে এঘটনায় আদালতে অভিযোগ করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, থানা কর্তৃপক্ষ তার (জাহেদা) মামলা রুজু না করলেও ০৫ জুন তারিখে প্রতিপক্ষ ঝর্ণা বেগমের দেয়া অভিযোগটি নথিভুক্ত করে পুলিশ। ওই অভিযোগ পত্রে জাহেদা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করা হয়, যা সম্পুর্ণ হয়রানিমূলকভাবে করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

তিনি দাবী করেন, প্রতিবেশি সিয়াম খাঁ গংরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতি মুহুর্তে হুমকী ও হামলার ঘটনা ঘটালেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতে সাহস পায় না। এতে তারা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তারা মূলত নানাভাবে তার (জাহেদা) পরিবারকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবী জাহেদার।

তিনি আরো বলেন, জমি-জমা বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি সিয়াম খাঁ গংরা ইতিপুর্বে কয়েকবার হুমকী প্রদানসহ হামলা মামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারী ২০২৫ মাসে সিয়াম খাঁর নেতৃত্বে তার (জাহেদা) কিশোর পুত্রকে বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবাদ করলে সিয়াম খা তার সঙ্গীয়দের নিয়ে আমার বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় আমাকে (জাহেদা) উদ্দেশ্য করে অশ্লিল মন্তব্য ও বিভিন্ন ধরনের খারাপ ইঙ্গিত করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাদকের গন্ধ ও তাদের এমন অসৌজন্যমুলক আচরণে অতিষ্ট হয়ে, তাদের অনত্র সরে যাওয়ার কথা বলায় সিয়াম খাঁ ক্ষুব্দ হয়ে তার সঙ্গীয়দের নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে আমার (জাহেদা) শরীরের বিভিন্ন অংশে নিলাফুলা জখম করে এবং আমার গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে প্রতিপক্ষ সিয়াম খা’কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও আমি ঐ টাকা সকলের উপস্থিতিতে ছেড়ে দেই। তবে ওই দিন আবারো আমার বাড়ি এসে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়ায় বাধ্য হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি। যদিও ঘটনার সতত্য পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থাপন করে। ওই মামলায় জামিন নিয়ে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে আমাদের উপর আরো বেশি জুলুম অত্যাচার করতে থাকে।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার সাথে এ ধরনের অন্যায়মুলক কর্মকান্ড চরভদ্রাসন থানা পুলিশকে মৌখিক ও লিখিত জানালেও আজ অবধি সুবিচার পাইনি।
তিনি দাবী করেন, আইনের মাধ্যমে তারা অপরাধের শাস্তি না পাওয়ায় আরো বেশী ক্ষুব্দ হয়ে পড়েছে। প্রতিমুহুর্তে নানা ধরনের খারাপ মন্তব্য ও হুমকী ধামকি দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে তিনি ও পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবী করে প্রতিকার চেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন।

তবে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ রজিউল্লাহ খান জানান, ইতিপুর্বে জাহেদা বেগম হুমকী প্রদানের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরী করেছিলো, যার সত্যতা পাওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত ৩১ মে তারিখের ঘটনায় দুই পক্ষই মামামারি করে, এসময় ঝর্ণা বেগমের হাতের আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ঝর্ণা বেগম সার্টিফিকেট সহ অভিযোগ দেয়ায় তদন্ত করে মামলা নথিভুক্ত করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102