অনলাইন ডেস্ক ॥
ঢাকা: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন রাখতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যত্রতত্র কোরবানির পশু লোড-আনলোড করা যাবে না এবং রাস্তায় যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটালে বা জোরপূর্বক ব্যাপারীদের পশু বিক্রয়ে বাধ্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (১ জুন) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। সভায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিপণন, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা এবং ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে সরকার নির্ধারিত হাসিল ছাড়া হাট ইজারাদাররা অন্য কোনো অর্থ আদায় করতে পারবেন না। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী কোনো যানবাহনকে হাটে জোরপূর্বক প্রবেশ করানো যাবে না। পশুর হাট অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার জানান, যেকোনো ধরনের সমস্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ছবি বা ভিডিও রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করার এবং রাস্তা ব্লক করে পশুর হাট বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটের চৌহদ্দির মধ্যে পশুর বাজার সীমিত রাখতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় হাট বসিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। বাজারে পশুর সংকট মর্মে গুজব ছড়িয়ে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোরবানির পশুর বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিপিডিসি, ডেসকো, ঢাকা জেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, লবণ ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।