মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে আকিকার মাংসের ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে সংঘটিত এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ৮ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে রাঙ্গারদিয়া গ্রামের নান্নু মেম্বারের সমর্থক উজ্জল মোল্যার সাথে জালাল মাতুব্বরের সমর্থক ফারুক মোল্যার আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নিলে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে পুনরায় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষকারীরা একে অপরের ২৫-৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই সংঘর্ষে আজিজুর (২৮), মিরাজ মোল্যা (৩৫), কামাল হোসেন (২৫), ছায়েম হোসেন (৩৫), সালাম সরদার (৪৭), রোকমান শেখ (৫৫), রেহেনা বেগম (৫০) এবং সেতু আক্তার (২০) সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান জানান, রাঙ্গারদিয়া গ্রামে আকিকার মাংস নিয়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে শুক্রবার (৯ মে) রাত ও শনিবার (১০ মে) সকালে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।