মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম :
বিতর্কিত তিন নির্বাচন: জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেয়র ইস্যুতে শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি: আসিফ মাহমুদ ফরিদপুরে র‌্যাবের অভিজানে গাঁজা-ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত: ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলায় কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য হতো দরিদ্র পরিবারকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলন আমার বাবা, আমার প্রেরণা ! সংবিধান সংস্কারের পথ পদ্ধতি নিয়ে সমঝোতা না হলে তা হবে শহীদদের রক্তের সাথে প্রতারণা এখানে দলের নির্দেশে এসেছি, হঠাৎ করে আসি নাই: শহিদুল ইসলাম বাবুল আশুলিয়ায় ঢাকা লিগ্যাসি লিমিটেডের প্রকল্পে হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ: মামলা দায়ের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত নির্বাচন সময়সীমা নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নেই: আজহারুল ইসলাম

তারাবি নামাজের নিয়ত, নিয়ম, দোয়া ও মোনাজাত

Coder Boss
  • Update Time : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ৪২ Time View

মোঃ মিরন খন্দকার॥
রমজানের গুরুত্বপূর্ণ আমল তারাবি নামাজ। এ নামাজ দেহ ও মনে প্রশান্তি এনে দেয়। গুনাহ মাফের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশা নিয়ে রমজানে তারাবি নামাজ পড়বে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রোজাকে তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন এবং আমি তোমাদের জন্য তারাবি নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি রমজানে ইমান এবং সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে ও তারাবি নামাজ পড়বে, সে তার সব গুনাহ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে, যেভাবে একটি শিশু নিষ্পাপ অবস্থায় জন্মায়।’ (সুনানে নাসায়ি, পৃষ্ঠা : ২৩৯)

তারাবি নামাজের অর্থ ও পরিচিতি
আরবি ‘তারবিহাহ’ থেকে তারাবি শব্দটি এসেছে। অর্থ বিশ্রাম নেওয়া। রমজান মাসে এশার নামাজের পর সুন্নত হিসেবে তারাবি নামাজ আদায় করা হয়। চার রাকাত পর পর বিরতি নেওয়ার মাধ্যমে এটি দেহ ও মনকে প্রশান্তি দেয়। তাই একে ‘তারাবিহ’ বা প্রশান্তির নামাজ বলা হয়।’ (কামুসুল ফিকহ)

জামাতে তারাবি পড়ার বিধান
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য তারাবি নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। পুরুষদের জন্য মসজিদে জামাতে তারাবি নামাজ পড়া সুন্নত। তবে প্রয়োজনীয় অসুবিধার কারণে জামাতে অংশগ্রহণ সম্ভব না হলে একাকি পড়া যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে কয়েক রাত জামাতে পড়িয়েছেন। তবে ফরজ হওয়ার আশঙ্কায় নিয়মিত করেননি তিনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১২)

তারাবি নামাজের নিয়ত
মানুষের মনের ইচ্ছায় নিয়ত। যখন নামাজের জন্য জায়নামাজে দাঁড়ানো হয়, তখন মানুষের মাথায় থাকে, কোন ওয়াক্তের কোন নামাজ সে আদায় করছে। তারাবির নামাজে যখন আমরা দাঁড়াই, তখন আমাদের স্মরণে থাকে, আমি তারাবির নামাজ আদায় করছি-এই স্মরণটাই মূলত নিয়ত। তবুও এভাবে নিয়ত করা যায়, ‘আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবির সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি।’ তারপর আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। যারা বিশুদ্ধভাবে আরবি বলতে পারেন, তারা আরবিতেও নিয়ত করতে পারেন। আরবি নিয়ত করা আবশ্যকীয় নয়। আরবি নিয়তটি হলো-

বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রাকায়াতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতে রাসুলিল্লাহি তাআলা, মুতা ওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতি শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

বাংলা অর্থ : আমি কেবলামুখি হয়ে দুই রাকাত তারাবির সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার।

তারাবি নামাজের নিয়ম
এশার নামাজের পর এবং বিতর নামাজের আগে তারাবি নামাজ পড়া হয়। দুই রাকাত করে পড়তে হয়। প্রত্যেক দুই রাকাতের পর সালাম ফেরানো হয়। এভাবে চার রাকাত আদায়ের পর একটু বিশ্রাম নিতে হয়। এ সময় তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-দুরুদ ও জিকির-আজকার পড়া উত্তম। এভাবে দুই রাকাত করে বিশ রাকাত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তারাবি নামাজ শেষ হয়।

তারাবির দোয়া
তারাবি নামাজে চার রাকাত নামাজের পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। প্রায় সব মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি ও নারীরা এ দোয়াটি গুরুত্বের সঙ্গে পড়েন। দোয়াটির সঙ্গে নামাজ শুদ্ধতা হওনা না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। না পড়লে কোনো অসুবিধে নেই। পড়লে সওয়াব আছে। দোয়াটি হলো-

বাংলা উচ্চারণ : সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইজ্জাতি, ওয়াল আজমাতি, ওয়াল হায়বাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়ায়ি, ওয়াল জাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়িল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুনা ওয়া রব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রুহ।

তারাবি নামাজের মোনাজাত
আমাদের দেশে তারাবির নামাজের মোনাজাত হিসেবে একটি মোনাজাতের প্রচলন আছে। বিশ রাকাত নামাজ শেষ করে এ দোয়াটি পড়া হয়। দোয়াটি হলো-

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাস আলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহ মাতিকা ইয়া আজিজু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া জাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান নার। ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজির। বিরাহ মাতিকা ইয়া আরহামার রহিমিন।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102