মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে চলছে মাটিকাটা মাটি বিক্রি ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন। প্রশাসন কঠোর ভাবে ব্যবস্হা না নেওয়ায় থামছেনা বালু উত্তোলন।
উপজেলার , সোনাপুর ইউনিয়ন এর রাঙ্গারদিয়া, বল্লবদি ইউনিয়ন এর ফুলবাড়িয়া গ্রামের কুমার নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এছাড়া গোট্টি ইউনিয়নর জয়ঝাপ, বড়দিয়া বাজারের পাশে।
কুমার নদি থেকে অবৈধভাবে খনন যন্ত্র -ড্রেজার মেশিন- দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করায় নদীর দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক চরম হুমকির মূখে পড়েছে,বলে জানান স্থানীয়রা।শুধু তাই নয় পাকা সড়কের নিচ দিয়া ফুটা করে পরে পাইপ ঢুকিয়ে পানি নদীতে বের করা হয় এবং রাস্তার উপর দিয়ে নড়দোমার মত করাহয়,তার ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনেক অসুবিধা হয় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
যে কোন সময় নদীর পাড় থেকে সড়কের কিছু অংশ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রশাসন দেখেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দৃশ্যমান কোন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে,ও কোনো প্রতিকার মিলছে না,ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এসে দেখে চলে যায়। কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা বলেন- মাত্র কয়েক দিন আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদের দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। সেই সড়ক দুটি এখন চরম ঝুঁকিতে। এর আগে নদিটি খনন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদি খননের পর দুই পাড় ধ্বংসের আশঙ্কায় রয়েছে এমনিতেই। এরমধ্যে আবার নতুন করে কয়েক দিন ধরে নদের ভিতর অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বালী বিক্রি করছেন একটি মহল তা-ও রাস্তা ফুটো করেএই ব্যবসার মূল মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা আজগর আলির নেতৃত্বে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন চলছে।ড্রেজার মালিক আজগর বলেন আমার ড্রেজার আমরা ড্রেজার চালাই নিচ থেকে উপর মহল পর্যন্ত সবাইকে টাকা দিতে হয়।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান বালি মুঠো ফোনে বলেন,অভিযোগ পেয়েছি আমার মত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।