প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
০২/১২/২০২৪ সোমবার সকাল ১১ টায় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের জরুরী সভা দলের অস্থায়ী কার্যালয় সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কারী ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডাঃ সামছুল আলম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)’র সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হারুন চৌধুরী, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)’র মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান।
সভায় গণঅভ্যুত্থান উত্তর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১১৫ দিনের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা হয়। জন আকাঙ্ক্ষার সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজের বৈষম্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কিছু ভালো কাজ করলেও বেশির ভাগ উপদেষ্টার অনভিজ্ঞতা অদক্ষতা ও অপরিনামদর্শীতার কারণে জনমনে আশঙ্কা ও ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। প্রশাসনে অচলাবস্থা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে না পারার ব্যর্থতা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পলিথিন, ব্যাটারি চালিত রিকশা নিষিদ্ধের মত হটকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবতা সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। কোথায় কঠোর হতে হবে, কোথায় মানবিক হতে হবে এনজিওর মত না দেখে রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গণমাধ্যম, শিক্ষাঙ্গন, বিচারালয়, চিকিৎসালয় সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবেশী ভারতের সাথে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নয়নে আরো দক্ষতা নিয়ে কাজ করতে হবে। দেশের ভিতরে কাউকে বা কোন গোষ্ঠীকে অতিউৎসাহী হঠকারী উস্কানিমূলক কাজ করা থেকে কঠোর ভাবে বিরত রাখতে হবে। সনাতনী গেরুয়া বাহিনীকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের ন্যায় মোকাবেলা করাই উচিত হয় নাই।
সভায় টাকা না ছাপানোর ঘোষণা দিয়েও সাড়ে ২২ হাজার কোটি কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংককে ধার দেওয়ায় তীব্র সমালোচনা করা হয়। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যে কোন অপচেষ্টা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সভা সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিয়ে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত নিশ্চিত করতে হবে। ১১৫ দিনের কাজের পর্যালোচনা করে ব্যর্থ উপদেষ্টাদের অপসারণ করে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের ভেতর সংস্কার কমিশনের কাজ শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। প্রতিবেশী ভারতের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও পতিত স্বৈরাচারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের জন্য জাতীয় সংলাপ জরুরী।