মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হতে রেহাই পেল আটঘরের এলাকাবাসী। জানা যায়, বরিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭ ঘটিকায় গোয়ালপাড়া গ্রামে বড় ধরণের সংঘর্ষের প্রস্তুতীর খবর পেয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান তাৎক্ষনিক ভাবে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে এলকাবাসীকে রক্ষা করেন।
রবিবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে সংঘর্ষের সুচনা হয়। কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, গোয়ালাপাড়া ও খোয়াড় গ্রামে দুটি গ্রাম্য দল রয়েছে। এর মধ্যে একটি দলের নেতৃত্ব দেন মুরাদ মাতুব্বর পিং আব্দুল হাতেম মাতুব্বর ও সামাদ পুলিশ, সাং খোয়ারগ্রাম, এবং অপর দলের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য কাওছার হোসেন এর স্ত্রী মোসাঃ ইতি বেগম ও মৃতঃ আসাদের মাতুব্বরের ছেলে মিঠুন।
গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে তার জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় গোয়ালপাড়া পতিতের বাজার চাঁ খেতে আসেন গোয়ালপাড়ার লোকজন চাঁ পানরত অবস্থায় হঠাৎ খোয়াড় গ্রাম থেকে ৪০/৫০ জন লোক এসে বলে, এখানে নাকি খুব গরম তাই ঠান্ডা করতে এলাম।
এই বলে সামছু সেখ (৬৫) কে এবং সাইফুল মাতুব্বর (৩৫) কে কিল ঘুসি ও তাদের কাছে থাকা হাতুড়ি লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করে এক পর্যায়ে সামছু সেখ রক্তাত্ব অবস্থায় মাটিতে পড়েগেলে তার চিৎকারে অন্য লোকজন এসে পড়লে হামলাকারিগন সরে পড়ে। সামাদ পুলিশের নেতৃীত্বে খোয়াড় গ্রাম থেকে আসা লোকজন গোয়ালপাড়া গ্রামকে একদেড়শত লোক দেশীয় অস্ত্র ঢাল শরকি হাতুরি লোহার রড হাতে নিয়ে ঘিরে ফেলে।এরপর অপর দলের নেতৃত্ব দানকারি ইতি বেগম বলেন, আমরা কোন উপায়ান্ত না দেখে সালথা থানার ওসি সাহেবকে ফোন করি, তাৎক্ষনিক ওসি সাহেব ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের এলাকাকে বড় ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
ইতি আরো বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় সোহাগের বাড়িতে মিটিং করেন তার লোকজন এরপরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর কিছু দিন আগে স্থানীয় পিকুল খান ও নিশান খানকে সোহাগের নির্দেশে মারা হয়েছিলো, পরে পিকুল খান পঙ্গু হয়ে যায় আর নিশান খান জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে বিদেশে চলে যান।
এঘটনা সম্পর্কে উক্ত ইউনিয়নের চোয়ারম্যান সহিদুল হাসান খান সোহাগের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানিনা, আমি কুষ্টিয়া থেকে তিনদিন পর এই মাত্র অফিসে আসলাম।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতা ও এলাকার পরিবেশ শান্ত করি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশর মোতায়েন করা হয়েছে । এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি, মামলা হলে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।