সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন
৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা আজ ইসিতে ইসলামপুরে শরীরে প্রাণীদের মত লোম নিয়ে তিনটি পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন বন্ধের হুমকি: চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা ঢাকা শহর এইচএসসি ও সমমানের ফল পুনর্নিরীক্ষণ শুরু: প্রতি পত্রে ফি ১৫০ টাকা, আবেদন ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চাকসু নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় ছাত্রশিবিরের: ভিপি-জিএসসহ ২৪ পদে বিজয়, ছাত্রদলের সান্ত্বনা এজিএস রাবিতে রাকসু নির্বাচনে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়, ২৩ পদের ২০টিতেই বিজয়ী ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ কালিয়ায় দুস্থ মহিলা সহায়তা কর্মসূচীর কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পিবিএল ফাইন্যান্স-এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত তিনটি শর্তে জুলাই সনদে সই করবে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

সালথায় অ সিজনে দেশী পাট বীজ সংগ্রহকরে লাভবান কৃষক মোক্তার হোসেন

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২২৯ Time View

মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি॥
পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। প্রতিবছর এই উপজেলায় অন্তত ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়।

এখানকার কৃষকরা ভারতীয় বিভিন্ন জাতের বীজ বপন করে পাট আবাদ করে থাকেন। তবে গত চার বছর ধরে সালথা উপজেলা সদরের কৃষক মুক্তার মোল্যা নিজের উৎপাদিত দেশীয় বীজ দিয়ে পাট আবাদ করে আসছেন।

তার এই সাফল্যের ফল হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এরই ধারবাহিকতায় এবারো তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছেন।
শুক্রবার বার (৮ নভেম্বর) সকালে দেশীয় পাটের বীজ উৎপাদনের বিষয় নিয়ে কথা হয় কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ মুক্তার মোল্যার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকরা ভারতীয় নানা জাতের বীজ দিয়ে পাট আবাদ করেন।

তবে আমি গত চার বছর ধরে সবুজ সোনা-৯ নামে বীজ উৎপাদন করে আসছি। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছিলাম। এতে আমার খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। ওই জমি থেকে আমি অন্তত ২০০ কেজি বীজ পেয়েছিলাম।

তিনি বলেন, নিজের উৎপাদিত সেই বীজ দিয়ে গত বছর আমি ১৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম। ১৪ বিঘা জমিতে আমার ১৪ কেজি বীজ লেগেছিল। আমার উৎপাদিত একটা বীজও নষ্ট হয়নি। প্রতিটা বীজ থেকে পাট গাছের জন্ম হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো।

বাকি ১৮৬ কেজি বীজ বিক্রি করে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা আয় করেছি। তাতে আমার নিজের ১৪ বিঘা জমির প্রয়োজন মিটিয়েও ৮ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে ২ কেজি করে ভারতীয় বীজ লাগে। আবার অনেক বীজ নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু আমার উৎপাদিত ১ কেজি বীজ দিয়ে এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করা যায়। বপন করার পর একটা বীজও নষ্ট হয় না।

ফলনও ভারতীয় বীজের চেয়ে ভালো হয়। এবারও আমি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে পাটের গাছ থেকে ফুল আসতে শুরু করেছে। আশা করি, ওই ৪০ শতাংশ জমি থেকে এবারো ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি বীজ পাবো। আমার মতো অন্য কৃষকরা যদি নিজে বীজ উৎপাদন করে পাটের আবাদ করেন, তাহলে তারা লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার, পাট গবেষণা থেকে বীজ এনে কৃষক মুক্তার মোল্যা পাটের বীজ উৎপাদন করছেন।

সালথায় ইতিমধ্যে এই বীজের জনপ্রিয়তা অনেকটা বেড়েছে। যদিও ভারতীয় বীজের চেয়ে দেশীয় এই বীজের চাহিদা কম। তবে কৃষকরা যদি নিজেরা বীজ উৎপাদন করে, তাহলে তাদের খরচ কম হবে। আবার ফলনও ভালো পাবে। মুক্তার মোল্যার মতো অন্য কৃষকরা যদি পাটের বীজ উৎপাদনে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102