আতিকুর রহমান,শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
১৬০ ফুট দৌর্ঘ ও ৬ ফুট প্রস্থর সেতুটি প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার।দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না করা সেতুটি পাসের অনুপ হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যদিয়ে পার হতে হয় নসিমন, ইজিবাইক, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল, অটো রিক্সা, ভ্যানসহ অনান্য যানবাহন, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এমন চিত্র দেখে সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিলেন, উত্তর তারাবুনিয়া ২নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা আব্দুল হাসেম শিকদার এর ছেলে কুয়েত প্রবাসী আব্দুছ সাত্তার শিকদার।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শনিবার (০২/১১/২০২৪ইং) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ছুরির চরের আব্দুছ সাত্তার শিকদার নিজ অর্থায়নে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন । তার এমন উদ্যোগ ও সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
এসময় স্থানীয় সাবেক উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি সদস্য আক্কাস মামুদ (বালা) গণমাধ্যম কে জানান, আমার তালই এই ঝকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ টি দেখে, আমাদের সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে, নিজ অর্থায়নে এই ব্রিজ টি সংস্কার করে দিচ্ছেন ,দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষ ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতেন । এই এলাকার চলাচলের কষ্ট কিছুটা হলেও দুর হবে। তার প্রতি আমাদের সকলের কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা ও দোয়া রইলো।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য জালাল খান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা এই ভাঙ্গা ব্রিজ টি কোন ধরনের কাজ করতে পারি নাই, একাদিক বার সরকারের নিকট আবেদন করলেও সরকারি ফান্ড থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়নি, এনামুল হক শামীমকে বলা হয়েছিল তিনি শুধু আশ্বাসের ভিতর রেখেছেন, আমরা সকলে আলাপ আলোচনা করেছি, যেহেতু মানুষের সমস্যা হচ্ছে কিভাবে যাতায়াত করবে সেই বিষয়টা নিয়ে, আমার বিয়াই সাত্তার শিকদার কে বলার পর।
তিনি এই ছুরিরচর বাঁশির কথা চিন্তা করে সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে সমস্ত টাকা তিনি বহন করে শনিবার (০২/১১/২০২৪ইং) আমাদের উপস্থিতিতে ব্রিজ টি মেরামতের কার্যক্রম শুরু করি।
এবিষয়ে আব্দুছ সাত্তার শিকদার বলেন, আমি এলাকার রাজনীতি করবো, সেই কথা চিন্তা করে নয়, আমি সেদিন বাড়িতে আসার পর দেখলাম যে এখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে খুবই সমস্যার হচ্ছে। যেকোনো সময় একটি বড় দুর্ঘটনা করতে পারে, কিছুদিন আগেও একটি মহিলা ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়েছিল, বাচ্চারা সময়মতো স্কুলে যেতে পারে না, সবদিক বিবেচনা করে, আমি আমার এই ছুটির চর বাঁশির সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করি, এবং আমি নিজে সকল অর্থ বহন করে এই ব্রিজ টি মেরামত করে দেবো এই সিদ্ধান্ত নেই, এবং সকলের উপস্থিতিতে আজকে মেরামতের কার্যক্রম শুরু করি, সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন আগামীতেও মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বালা মামুদ, হাজী জয়নাল মামুদ, জালাল খান, আয়ুব আলী মামুদ, রশিদ মাঝী, সোহেল শিকদার, তুহিন মামুদসহ স্থানীয়রা। তবে ব্রিজ টি মেরামত হলে সঠিক সময়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় গিয়ে লেখা পড়া করতে পারবে বলে জানান এক ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।