কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ॥
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ফাঁসিতে ঝুলে রোমানা আক্তার (১৫) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (১৮ আগষ্ট) দক্ষিন খামার বজরা বীরপাড়া এলাকায়।এদিকে নাবালিকা গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের গৌরিবল্লভ এলাকার রবিউল ইসলামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা রোমানা আক্তার (১৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী বজরা ইউনিয়নের দক্ষিন খামার বজরা বীরপাড়া এলাকার মমিনুল বীরের ছেলে রানা বীর (২২) এর সাথে প্রায় ৭ মাস পূর্বে বিবাহ হয়।রোববার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে রোমানার শাশুরি বাহির থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান।এরপর ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান শয়ন ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে পুত্রবধু ঝুলে আছেন।এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে গৃহবধুকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।পরে বিকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, রোমানা আক্তার গুনাইগাছ রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা আরও জানান, তার স্বামী রানা বীর ১৮ দিন পূর্বে কাজের সুবাধে ঢাকায় যান।তিনি সেখানে পোশাক কারখানায় কর্মরত আছেন।নিহত গৃহবধুর নানা হাবিবর রহমান (৫৬) বলেন, নাতনি রোমানা আক্তারের ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার কোন কারন খুঁজে পাচ্ছে না তারা।বিষয়টিকে রহস্যজনক মনে হচ্ছে তাদের। ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে হয়তো প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে বলে তাদের ধারনা।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।গৃহবধুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।