ফরিদপুর প্রতিনিধি ॥
ফরিদপুর রাসেল শিশুপার্কে ড্রাগন রাইডার ছিড়ে পড়ে একই পরিবারের তিনজন আহত ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্কে পরিবারসহ ঘুরতে গিয়ে ড্রাগন রাইডে চড়ার পরে রাইডারের বেল্ট ছিড়ে উল্টে পড়ে গিয়ে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে।(২১ জুন) শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫:৩০ টায় পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্কে ড্রাগন স্টাইলের রাইডারে চড়ার কিছু সময় পরেই রাইডার ছিড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।এ দুর্ঘটনায় আহতরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে। আহত হয়েছে ফরিদপুর বর্ধিত পৌরসভার মামুদপুরের মো: জাসদ ও তার এগারো বছর এবং আড়াই বছর বয়সী দুই কন্যা।
আহত জাসদ আক্ষেপ করে বলেন, দ্বায়িত্বে অবহেলায় এ রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে, আগে থেকে এ সব যন্ত্রাংশ দেখাশুনা করলে এমন হতো না।এরকম দুর্ঘটনা ঘটনার পরে পার্ক কর্তৃপক্ষের কোন মানবিক সহায়তা পাননি বলে জানান আহত ব্যক্তি।ভুক্তভোগীদের আরোও অভিযোগ টিকেটে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা লেখা থাকলেও ১২০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাইডারে টিকিট নেয়ার পর মাত্র এক মিনিট করে চড়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে প্রতি টিকিট গ্রহণকারীদের।এছাড়াও পার্কের ভিতরে সেবার মান অসন্তোষজনক। পার্কের মধ্য থেকে কোনো কিছু কিনতে গেলে অতিরিক্ত মুল্যে দিয়ে কিনতে হচ্ছে।এদিকে বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবারের সাধারণ মানুষের অভিযোগ এ পার্কে ভিতরে সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে।পার্কের ভিতরে বিভিন্ন স্পটে অসামাজিক কার্যকলাপে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের।যেখানে পরিবারের সদস্যদের সাথে আসা খুবই লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহন না করলে দিন দিন এখানে যাতায়াতে স্কুল-কলেজের বেশ কিছুসংখ্যক ছেলেমেয়েরা অশ্লীলতার স্রোতে নিমজ্জিত হয়ে যাবে।এ বিষয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে বলেন ম্যানেজার নেই দুইদিন পর আসবেন। এ সময় দ্বায়িত্বে থাকা ফোরম্যান সুলতান জানান, আচমকাই ওই দুর্ঘটনা ঘটার পর আহতদেরকে উদ্ধার করে সহযোগীতা করার চেষ্টা করেছি, ড্রেসিং করে দিয়েছি ও পরবর্তীতে ব্যাটারী চালিত অটোতে উঠিয়ে দিয়ে এসেছি। আহতদের ঠিকানা না জানার কারনে তাদের খোঁজ খবর নিতে পারি নাই। আহতদের নিকটতম এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আমাদের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা শুনেছে তার কাছে ফোন নম্বর চেয়েছিলাম তা এখনো দেই নাই, যেহেতু চিনি না তাই পরবর্তীতে আর কোন খবর নিতে পারি নাই।
এ বিষয়ে নিয়ে জাসদ বলেন,অটো আমরা নিজেরাই রিজার্ভ করে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া ওখানে কোনো লোক ড্রেসিং করে নাই বা জিজ্ঞাসাও করে নাই।