ফরিদপুর প্রতিনিধি ॥
ফরিদপুরের মধুখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী, শিশু সহ ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্য সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান এর সমর্থকদের সাথে বিপ্লব এর সমর্থকদের কথাকাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রাতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয় নারী, শিশু সহ কমপক্ষে ১০ ব্যাক্তি। এসময় দুই পক্ষের ৮/১০ টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। গুরুতর আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, আতিয়ার হোসেন ও বিপ্লবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা জানান, গ্রাম দলাদলিকে কেন্দ্র করে বিপ্লবের সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এছাড়া বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়।
বিপ্লবের সমর্থকরা জানান, মতিয়ার রহমান নিজে দাড়িয়ে থেকে আমাদের উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এমনকি নারী ও শিশুদের উপরও হামলা চালানো হয়। আমাদের বসতবাড়িও ভাংচুর করা হয়। আমাদের চার জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মিরাজ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮/১০ কে অজ্ঞাতনামা করে এবং সাহিদ শেখ বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য সহ তিন জনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।