নবাবগঞ্জ দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার নবাবগঞ্জে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া অপহরণ করার অভিযোগে আলকাম ওরফে কামরুল নামে কথিত ভূয়া পুলিশ আটক হয়েছে। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ। আলকাম উপজেলার আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। তার পিাতার নাম আব্দুল ওহাব।
শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভূয়া পুলিশকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসময় তিনি বলেন, আসামী আলকাম ওরফে কামরুল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে স্কুল ছাত্রীর সাথে সর্ম্পক গড়ে এবং বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভূক্তভোগী ছাত্রীর বয়স(১৮) না হওয়ার কারনে পরে বিবাহ করবে বলে জানায় মেয়েটির পরিবারকে। অতপর গত ৩১ মার্চ দুপুরে গালিমপুর বাজার এলাকা থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে রাজধানী ঢাকা নিয়ে যায়। কিছুদিন পর ঢাকা থেকে পঞ্চগড় নিয়ে যায়। অপহরণকৃত মেয়েটির সাথে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে । সে আপত্তিকর ছবি তুলে ও ভিডিও ভাইরালের কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবী করে অপহরণকৃত মেয়েটির স্বজনদের কাছে। টাকা না দিলে সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে পোষ্ট করার হুমকি দেয় প্রতারক আলকম।
এ বিষয়ে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামানকে অবগত করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জালাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, মোঃ আমিরুল ইসলামসসহ পুলিশের একটি দল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে।
এসময় তার ব্যবহার করা পুলিশের পোষাক, একটি মোবাইল ও পুলিশের বুট জুতা, বেল্ট ও কাউন্টার টেরিজম লগোযুক্ত ঢাকা মেট্রো-ল-২৮-৯৬৭৬ নম্বর কালো রং এর মোটর সাইকেল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত প্রতারক আলকাম পুলিশের কাছে অপহরণ ও মেয়েটি সাথে হওয়া ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আলকামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
অপরদিকে সরেজমিনে আলকামের বিষয়ে আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া, গালিমপুর এলাকার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতারক আলকামের গ্রামের বাড়ি আগলা ইউনিয়নে হলেও সে বহু পূর্বে থেকে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করেন। তার মা ও পিতার মধ্যে সম্পর্ক নেই। পিতার ও মাতার একাধিক বিবাহের কারনে সে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। এলাকার লোক তাঁকে চেনন না।