জয় মহন্ত অলক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
পুলিশ সুপার বলেন, সোমবার সকালে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নে কানাড়ী গ্রামে আম বাগানের ভিতরে রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায় রেজিয়ার ছেলে মামলার বাদী জুলফিকার আলী রুবেল ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করেন। তার বাবা প্রায় ২০ বছর আগে মারা যায়। সে বিবাহিত হওয়ায় তার স্ত্রী ফেন্সি আক্তার সহ তার মা গ্রামে থাকতেন।
রবিবার রাতে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে মায়ের খোঁজ নিতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন মা বাড়ির বাহিরে গেছেন। তার মা বাড়িতে ফিরে না আসলে তার স্ত্রী এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন পরের দিন সোমবার সকালে সেনগাঁও ইউনিয়নের জাহিরুল ইসলাম এর আম বাগানে রেজিয়া খাতুন এর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও এর নির্দেশক্রমে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পীরগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা, ঠাকুরগাঁও এর সমন্বয়ে বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে কাজ করে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন। এ পর অভিযান চালিয়ে একই দিনে হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামি মালগাঁও গ্রামের- মৃত তমিজ উদ্দীন ছেলে ১ দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও কানাড়ী গ্রামের মৃত ধনীবুল্লার ছেলে ২ এনতাজুল (৪৪) আটক করা হয়।
গ্রেফতার কৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য মৃত রেজিয়া খাতুন কে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়।
সে কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, ডিআই ওয়ান আব্দুল মতিন প্রধান, জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীসহ অন্যান্যরা। এই ঘটনায় রেজিয়া খাতুনের এর ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।