ফরিদপুর প্রতিনিধি ॥
৬ষ্ঠ অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরে দুইটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে নগরকান্দায় কাজী শাহ জামান বাবুল (আনারস) এবং সালথায় মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরকান্দা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও নগরকান্দার ইউএনও কাফী বিন কবির এবং সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও সালথার ইউএনও মো. আনিসুর রহমান বালী বিজয়ীদের ফলাফল ঘোষণা করেন। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলায় যুবলীগ নেতা কাজী শাহ জামান বাবুল (আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৭২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. মনিরুজ্জামান সরদার (মোটরসাইকেল) প্রতীকে ২৪৪৩৬ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী কাজী শাহ জামান বাবুল বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. জামাল মিয়ার সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন।
এছাড়া সালথা উপজেলায় বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান ও গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর (আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৭৭৪৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৪২ ভোট পেয়েছেন। তবে নির্বাচনের একদিন আগে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকায় গোলমাল নিজের প্রাণ রক্ষার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুইটি উপজেলার ১১৫ টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
[ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন কবির জানান, ফরিদপুরে উপজেলা নির্বাচন কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দর মনোরম পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টহলরত অবস্থায় ছিল। এছাড়াও ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন।