দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কার্তিক পুর স্কুল থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল ঘোষের বাড়ি হয়ে শরিফ রাইস মিল পর্যন্ত রাস্তা মাঝখানে একটি বিএনপির বাড়ি থাকাতে ১৯ বছরেও রাস্তার রিপেয়ার হয়নি। একই ওয়ার্ড ও গ্রামের গোপাল ঘোষের বাড়ি হইতে জাবেদ আলী মসজিদ পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি ১০/১২ বছর যাবত কাঁচাই রয়ে গেছে কোন রকম সংসার হয়নি।
অপরদিকে মৃত আনছের মাদবরের বাড়ি হইতে (সাবেক ছাপড়া মসজিদ) খানবাড়ী মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটি ২০ বছর যাবত আগে ইটের ছলিং করা হলেও এযাবৎ কোন রিপেয়ার করা তো দূরের কথা এক কোদাল মাটিও ফেলেনি দায়িত্ব প্রাপ্ত মহল। এককথায় কেউ নজর দেয়নি।
ঐ রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট বাস্তার জামাই পাড়ার নতুন মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটি ইটের ছলিং করা হয়েছে বিগত ১০/১৫ বছর যাবত। রাস্তাটির অনেকাংশে খানাখন্দভরা রাস্তাটি রিপেয়ার করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
৫ ওয়ার্ডের বড় বাস্তা গ্রামের মৃত হাসেম মাদবরের বাড়ি হইতে সাবেক জহুর উদ্দিন মেম্বার এর বাড়ি হয়ে নুর মোহামেদ শিকদার এর বাড়ি পর্যন্ত খানাখন্দ ভড়া রাস্তাটির ১৫ বছরেও ইটের ছলিং থেকে পিচ ঢালাই অথবা আরসিসি ঢালাই করার কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অপরদিকে ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের বাস্তা গ্রামের আফছার খান এর বাড়ি হইতে জাফর আলী মোল্লার বাড়ি হয়ে মনিরের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার ইটের ছলিং রাস্তাটি বিগত ১৫ বছরে রিপেয়ার করার কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
একই ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের চরকুশাই দেওভোগ ব্রিজ সংলগ্ন মসজিদ হইতে কার্তিক পুর বাজারের ছায়েদ মার্কেট পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা বিগত ২০ বছরেও সংসার করা হয়নি। ২০ বছর আগে ইটের ছলিং থাকলেও এখন কাঁচা রাস্তায় পরিনত হয়েছে।
ইউনিয়নের কার্তিক পুর পেশকার বাড়ি ব্রিজের নিচে থেকে মোতালেব এর বাড়ি হয়ে জাবেদ আলী মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার ২০/২২ বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
একুশের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি সরেজমিনে তদন্তে গেলে এলাকাবাসীর কয়কডজন লোক একবাক্যে বলেন কোন কোন রাস্তা মেপে গেলেও কোন উন্নয়ন এর মুখ দেখতে পারিনি। এছাড়া এযাবৎ কয়েকজন চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে কিন্ত রাস্তার চেহারা পরিবর্তন হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগ দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নে বিগত ১০/১৫ বছরে আশানুরূপ উন্নয়ন কম হয়েছে এমনটাই দাবি ইউনিয়নবাসীর।
বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মন্ডল বলেন, আমি একাধিকবার বলেও কোন লাভ হয়নি।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন আমি দোহারের অলিগলি, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, গোরস্থান এর উন্নয়ন করেছি, যারাই আমার কাছে এসেছে তাদের কাজ আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে সম্পূর্ণ করে দিয়েছি। যেসব রাস্তা এখনো হয়নি, আমার কাছে আসলে আগামী জুন/জুলাই অর্থবছরে করে দিবো ইনশাআল্লাহ এমনটাই আশ্বাস দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।