নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ফরিদপুরের মধুখালী থানার দুই পুলিেশর বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মধুখালী থানার চরবাগাট গ্রামের মো: শিপন সরদার নামের ব্যাক্তির সংঙ্গে ঘটে এমন ঘটনা, জানা যায় ভুক্তোভুগি মো; শিপন সরদার,পিতা মো:নান্নু সরদার গ্রাম চরবাগাট,উপি বাগাট,থানা মধুখালী জেলা ফরিদপুরকে মধুখালী থানার এ এস আই সম্রাট ও মধুখালী সার্রকেল অফিসের কম্পিউটার অপারেটর কনেষ্টবল তৌহিদ,ঈদের সাত দিন আগে অর্থাৎ ৩০এপ্রিল সন্ধার পরে শিপন কে লোক মাধ্যমে ডেকে নিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে চার পাঁচ ঘন্টা জঙ্গলের মধ্য আটকিয়ে রাখে, পরে শিপনের কাছে একলক্ষ টাকা দাবি করেন তৌহিদ পুলিশ, পরে শিপনের স্ত্রী ও শিপনের মা, গ্রামের মানুষের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার করে তৌহিদের হাতে দিলে তারপর শিপন কে ছেড়ে দেন বলে জানান শিপন।
এ সময় শিপনের স্ত্রী ও স্থানীয়রা বলেন, শিপন জমিতে পানি দিচ্ছিলো হঠাৎ একজন লোক এসে বলে, থানা থেকে স্যাররা ডাকছে, এই বলে শিপন কে ধরে হ্যান্ডকাপ লাগায় শিপনের কাছে কোন কিছুই পাই নাই, এই ঘটনার পরে তৌহিদ পুলিশ আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং ভয়ভীতি দেখায়, শিপন বলেন তখন আমি কোন উপায় না দেখে ,আমি জানতে পারি যে আমাদের ফরিদপুর জেলার এস পি স্যার খুব সৎ ও ভালো মানুষ, তাই আমি এস পি স্যার বরাবর একটা অভিযোগ করি, তৌহিদ পুলিশ ও এ এস আই সম্রাটের বিরুদ্ধে।
যেদিন অভিযোগ করি ঠিক সেই দিন রাতে লোকজন নিয়ে তৌহিদ ও সম্রাট আমাকে ধরতে আমার বাড়িতে যায়। আমাকে না পেয়ে আমার পাশের বাড়ির একজন কে মারধর করে এবং আমার স্ত্রীকে গালমন্দ করে খারাপ ভাষা ব্যাবহার সহ হুমকি দিয়ে বলে যে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করবে। এরপর এই ঘটনা আমি আবার এস পি স্যার কে ফোন করে জানালে এস পি স্যার আমাকে আবার অফিসে যেতে বলে। আমি অফিসে গেলে এসপি স্যার সেদিন ঢাকায় থাকার কারনে ,দায়িত্ব দেন এডিশনাল এস পি এমদাদ স্যারকে, তিনি সব কিছু শুনে আমাকে অনেক ধমক দেন, এবং আমাকে ঘটনার সাক্ষীদের কে নিয়ে যেতে বলেন, এবং আমার অভিযোগের কপিটা রেখে দেন। আমি অভিযোগের কপি ফেরত চাইলে আমাকে ধমক দিয়ে চলে যেতে বলে, আমি তিনজন সাক্ষী নিয়ে গেলেও, এখন পযর্ন্ত কোন বিচারের নমুনা আমি পাইনি। বরং অভিযোগ তোলার জন্য তৌহিদ পুলিশ প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তৌহিদ পুলিশ কিছু লোকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দিতে চাইছে।
উল্লেখ্য যে এই তৌহিদ পুলিশ মধুখালী থানায় সাত আট বছর যাবৎ কর্মরত ছিলেন, অল্প কিছুদিন আগে বদলি হলেও মধুখালী সার্কেল স্যারকে দিয়ে তদবির করিয়ে সার্কেল অফিসে পুনরায় যোগদান করেন। খোঁজনিয়ে জানা যায়, বর্তমান মধুখালী সার্কেল জনাব মিজানুর রহমান, বিগত দিনে মধুখালী থানায় ওসি হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন, সেই সময় কনেষ্টবল তৌহিদ তার আন্ডারেই কম্পিউটার ম্যান হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এমন আরও অনেক ঘটনার সংঙ্গে তৌহিদ পুলিশ জড়িত।বহু নিরিহ মানুষ তৌহিদের হয়রাণির শিকার বলে প্রমান পাওয়া গেছে। হয়রানির শিকার হয়েছে এমন দুই একজন বলেন, তৌহিদ পুলিশের কাজ হলো কম্পিউটার অপারেট, সে কি ভাবে সিভিলে মানুষ কে এমন ভাবে হয়রানি করতে পারে, এই অপরাধ দেখার মত কি কেউ নেই? আমরা আশা করি মাননীয় পুলিশ সুপার স্যার বিষটি দেখবেন, যেন তৌহিদ পুলিশ এমন অপরাধ করতে না পারেন। শিপনের মত আর কেউ হয়রানির শিকার না হয়। এলাকার মানুষ দাবী করেন, তৌহিদ পুলিশ ও সম্রাটকে অন্য জেলায় বদলি করে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করার মাধ্যমে শিপনের হয়রানির সুষ্ঠ বিচারের দাবী করেন।
বাংলাদেশে পুলিশের নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। প্রায়শই দেখা যায়, নিরীহ মানুষ পুলিশের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ধরণের ঘটনাগুলো রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মানবাধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন।